Thursday, April 25, 2024

সেকশন

English
Dhaka Tribune

কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে রবিবার বিক্ষোভ মিছিল

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা প্রথা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে রবিবার দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আপডেট : ১২ মে ২০১৮, ০৭:৪৭ এএম

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শনিবার (১২ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের নেতারা এ কর্মসূচির কথা জানান। বিক্ষোভ চলাকালে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলেও জানান তারা।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ৷ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যে ঘোষণা দিয়েছেন তার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে দেশের প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল রবিবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল পালিত হবে। বিক্ষোভ চলাকালে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত পরশু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি উৎসাহী কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালায়। রংপুরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়, আন্দোলনকারীদের ছবি তুলে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। এছাড়া আজ পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক জসীম উদ্দিন আকাশের বাড়িতে (চট্টগ্রামের বাঁশখালি) হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা দেওয়ার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার ৩১ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। আমরা বুধবার তাগিদ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন নতুন কমিটি গঠনের কথা বলে ছাত্র সমাজের সঙ্গে নতুন প্রহসন করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে তারা টালবাহানা করছে। আমরা আন্দোলন করেছি, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি হতে এতো দেরি কেন? অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলার ছাত্রসমাজকে শান্ত করুন।’

সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আকাশের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ প্রসঙ্গে জসিম বলেন, ‘আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতার কারণে আমার বাসায় হামলা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমার পরিবারের সবাইকে মেরে আহত করেছে। গতকাল (শুক্রবার) আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ তারা আমার বাসায় ভাঙচুর করছে। আমি ন্যায়ের জন্য আন্দোলনে এসেছিলাম বলে আমার ও আমার পরিবারের ওপর এই পরিণতি। আমি এর বিচার চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্মআহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, বিন ইয়ামিন মোল্লা, মাহফুজ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবনা পাঠানোর পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান জানান, গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে কোটা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা হতে পারে পাঁচ থেকে সাত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, লেজিসলেটিভ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে কে কে থাকবেন, তা নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনুমোদনের পর কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হবে। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠনের এ উদ্যোগকে আন্দোলন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা।

About

Popular Links