"যে সব সুযোগ তারা অনেক ক্ষেত্রে পেয়েছে, সেটা একমাত্র রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দ্বারাই সুরক্ষা করা সম্ভব”
বাংলাদেশে এখন রাজনীতি সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, “তাদের সামনে বাংলাদেশে এখন রাজনীতি সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগ। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ব্যবসার একটিা কলুষ সম্পর্ক গড়ে উঠছে। এর ফলে কে ব্যবসায়ী, কে রাজনীতিবিদ, নাগরিকরা সেই পার্থক্য বুঝতে পারছেন না।”
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘দ্য লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিস রিপোর্ট-২০১৮’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, “নির্বাচনে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর উপস্থিতি যথেষ্ট দৃশ্যমান। রাজনীতিবিদদের চেয়েও হয়তো ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরই তুলনামূলকভাবে উপস্থিতি বেশি দৃশ্যমান। ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এখন প্রয়োজন বোধ করছে, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ, যে সব সুযোগ তারা অনেক ক্ষেত্রে পেয়েছে, সেটা একমাত্র রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দ্বারাই সুরক্ষা করা সম্ভব।”
দেবপ্রিয় বলেন, “অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তিটা কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, এই চালিকাশক্তি হওয়ার কথা মূলত আমাদের উদ্যোক্তাদের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমাদের উদ্যোক্তা শ্রেণি এজন্য প্রস্তুত নয়। এর বড় কারণ হলো, উদ্যোক্তা শ্রেণি নিজেদের শ্রেণিস্বার্থ রক্ষা করে না। প্রভাবশালী উদ্যোক্তারা কেবল ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত।”
তিনি বলেন, “নীতির ভিত্তিতে সর্বজনীনভাবে ব্যবসার সুবিধা লাভ করার কথা থাকলেও তার পরিবর্তে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধাভোগীর সৃষ্টি হয়েছে। নির্দিষ্ট সুবিধাভোগী ব্যক্তি উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে, এর ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতি কর্মক্ষম হচ্ছে না।”
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা তৈরির দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। অর্থনীতির কাঠামোগত রুপান্তর ও সরকারি নীতি সংস্কারের বিষয়েও এতে তুলে ধরা হয়।
কপিরাইট Ⓒ ২০১২-২০১৮ ২এ মিডিয়া লিমিটেড। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
৮/সি, এফআর টাওয়ার, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৭, বাংলাদেশ।
কাজী আনিস আহমেদ, প্রকাশক
মতামত দিন