ধানমন্ডির বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ফারুকুজ্জামান হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছেলে দুর্জয় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ইসিজি রিপোর্ট দেখে ডাক্তার তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দেন।
ওই হাসপাতালে কোনো সিট না থাকায় রাত তিনটা নাগাদ ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হয় ৬৫ বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধাকে। তবে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে একজন চিকিৎসকের দ্বারা অপমানিত হোন জাতির এই সূর্যসন্তান।
পূত্রবধুর ধারণ করা ভিডিওতে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফারুকুজ্জামানের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে তাকে তাচ্ছিল্যের সুরে ‘যাহ ব্যাটা’ বলতে শোনা যায়। (বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন) সে চিকিৎসক বয়সেও অনেক তরুণ।
পরে ফারুকুজ্জামানের ছেলে শেখ দুর্জয় জামান গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিডিওটি প্রকাশ করেন। আর তার সাথেই ছবিতে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদের অনুলিপিও পোস্ট করেন।
ইতোমধ্যেই কয়েকশবার শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এ বিষয়ে ওই চিকিৎসকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি এখনো।
নেক্কারজনক এ ঘটনার সম্পর্কে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আফজালুর রহমান জানান যে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। অভিযোগটি খতিয়ে দেখবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।