ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেওয়া অভিযুক্তদের নিরাপদে মাদ্রাসার গেট পার করে দিতে অবস্থান নেন মহিউদ্দিন শাকিল।
আজ শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম ঢাকা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানিয়েছেন ।
মো. শাহ আলম বলেন, শুক্রবার বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ধ্রুব জ্যোতি পাল এর আদালতে শাকিলকে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই তথ্য দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর উকিলপাড়া এলাকা থেকে শাকিলকে আটক করা হয়। তার বাড়ি জেলার সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামে।
এখন পর্যন্ত এ মামলায় পুলিশ ও পিবিআই এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ মোট আটজন আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের চারতলায় যান। সেখানে বোরকাপরা চার-পাঁচজন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।