যশোরে ৬ স্কুলশিক্ষার্থীর ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি মামলার আসামি আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি পুলিশ।
শনিবার দুপুরে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের গাতিপাড়া এলাকার সীমান্ত পিলারের কাছ থেকে তাকে আটক করা হয় বলে ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণ মামলার আসামি আমিনুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ভারতে চলমান লোক্সভা নির্বাচনের কারণে দুই দেশের সীমান্তে কড়া নজরদারি জারি থাকায় সে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। পরবর্তীতে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গাতিপাড়া সীমান্ত পিলারের কাছ থেকে আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, "শনিবার দুপুর ২ টার দিজে আসামি আমিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আমিনুর। রবিবার আসামি আমিনুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারে"।
উল্লেখ্য, যশোর শহরের শাহ আব্দুল করিম (রা.) খড়কী সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আমিনুর। এছাড়াও আরও দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে।
এসবের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী এক শিশুর বোন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ১মে একটি জরুরি সভা আহ্বান করে ওই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ। অইসভায় অভিযুক্ত আমিনুরের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সে অনুস্পস্থিত ছিল।
পরে নির্যাতিত ৬ শিশু শিক্ষার্থী গত ২ মে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এছাড়াও যশোর জেনারেল হাসপাতালে নির্যাতিত ৪ শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হায়াৎ মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, "রবিবার আমিনুরকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।