বান্দরবানের অপহরণ করে আবাসিক হোটেলে ১০ দিন ধরে আটকে রেখে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম। আটক উশৈসিং মারমা জেলার রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের ঘেরাউ মুখ পাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক আদিবাসী ছাত্রীকে জেলার রোয়াংছড়ি থেকে গত ২৩ এপ্রিল অপহরণ করা হয়। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী।
পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টা দিকে জেলা শহরের বাস স্টেশন থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী উশৈসিং মারমাকেও আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পিতা চিংসিংঅং মারমা জানান, "লেখাপড়ার উদ্দেশে রোয়াংছড়িতে ছোট ভাইয়ের মেয়ের সাথে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত আমার মেয়ে। গত ২৩ এপ্রিল আমার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে মেয়ের অপহরণের সংবাদ পাই"।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণকারী ওই ছাত্রীকে প্রথম রোয়াংছড়ি থেকে বান্দরবানে নিয়ে আসে। সেখানে তার ছোট ভাই থোয়াইহ্লাচিং মারমার সহযোগিতায় থোয়াইচপ্রু মাস্টার গেস্ট হাউসে প্রায় ৫ দিন ভুউক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে অবস্থান করে উশৈসিং। পরবর্তীতে স্থান পরিবর্তন করে অপহৃতকে নিয়ে অতিথি হোটেলে ওঠে সে।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, "গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি উশৈসিং মারমার বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে"।