লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে শুক্রবারের নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ মে) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, মানবপাচারের এ ঘটনায় নোয়াখালীর তিন ভাই ও মাদারীপুরের দুজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া ১৪ বাংলাদেশি নাগরিকের সাথে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা কথা বলেছেন এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর যে চার লাশ উদ্ধার করা হয় তার মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং তার নাম উত্তম কুমার দাস। তিনি শরিয়তপুরের নড়িয়ার গৌতম দাসের ছেলে।
উত্তমের ছবি দেখে তার পরিবার পরিচয় নিশ্চিত করেছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও নিশ্চিত হওয়া গেছে যে দুটি নৌকায় থাকা মোট ১৫০ অভিবাসীর মধ্যে ১৩০ জন ছিলেন বাংলাদেশি। একটি নৌকা নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও আরেকটি নৌকা ৭০-৮০ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে ডুবে যায়।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ১৪ বাংলাদেশির মধ্যে চারজন বর্তমানে তিউনিশিয়া সরকারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং বাকি ১০ জন তিউনিশিয়া রেড ক্রিসেন্টের আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
আবদুল মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে জানান, এসব বাংলাদেশিরা চার মাস আগে লিবিয়া যান। তারা দুবাই, শারজা ও আলেকজান্দ্রিয়া হয়ে ত্রিপলি পৌঁছান। মানবপাচারকারীরা ত্রিপলিতে তাদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে।