জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় সিরিয়াল ভেঙে করে রোগী না দেখায় এক নারী চিকিৎসক অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ খবর হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা আধ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রেখে অভিযুক্ত তারা মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ করে। তারা মিয়া উপজেলার গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র জানায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বর্হিঃবিভাগে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শিখা খাতুন রোগী দেখছিলেন। এ সময় সিরিয়াল ভেঙে করে তারা মিয়া নামে এক ব্যক্তি রোগী দেখতে বলেন। কিন্তু শিখা খাতুন সিরিয়ালের আগে রোগী দেখতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে তারা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তার শিখা খাতুনকে অশ্লিল ভাষায় গালি দেন ও লাঞ্চিত করে।
এ সময় অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা এগিয়ে এসে শিখা খাতুনকে উদ্ধার করেন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আহসান হাবিব বলেন, 'এরা এতোই খারাপ মানুষ। ওই কক্ষে তাকে অশ্লিলভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের মিটিংয়ের পর থানায় এজাহার দায়ের করা হবে।'
মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নীলকমল চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের আটক করা হবে।