প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে নির্বাহী সভার এজেন্ডাভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন সদস্যপদ প্রদানের বিষয়ে পরবর্তী নির্বাহী সভায় এজেন্ডাভুক্ত করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের আগেই সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে যাবতীয় করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে ঈদের পরে পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভার সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা, রিকশা ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সভার বিষয়ে জানতে ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।