যশোরে চোর সন্দেহে দু'জনকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী রিয়াজুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
সোমবার (৬ মে) সকালে যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে কোতোয়ালী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ সহকর্মীকে উদ্ধার করে।
সন্দেহভাজন দু’জন হচ্ছেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নাড়িয়া মাইমুনের চর এলাকার হাবিবুর রহমান (৩৫) ও যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আশিক (২২)।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপাড়ার আমজাদ হোসেনের বাড়িতে রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চোর ঢুকলে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাদের আটক করে এবং এলাকাবাসীকে খবর দেয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করে চোর আটকের খবর জানায়। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিয়ে পরদিন (সোমবার) সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে যায়।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশের দেরিতে আসার বিষয়ে অভিযোগ করলে ফাঁড়ির এএসআই মিরাজুল তাদের সঙ্গে দুর্বব্যহার এবং নারীদেরকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। ফলে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটকে রাখেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরও বলেন, এএসআই রিয়াজুল সেখানে যোগ দেওয়ার পর গ্রামের অনেককে মিথ্যা মাদক মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে টাকা আদায়সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ায় তিনি আমজাদ হোসেন বাবুলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। বাড়ি মালিক তাকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে বাড়ির গেট বন্ধ করে দেন। তবে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন।
আমজাদ হোসেনের ছেলে আবু বক্কার জানান, এক পর্যায়ে থানা থেকে পুলিশের ওসি এসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জনতার রোষ থেকে এএসআই-কে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি ঘটনাস্থলে আটক চোরদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু কোনো গ্রামবাসীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি।”
পুলিশ ফাঁড়ির আরেক কর্মকর্তা সমীর কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের সঙ্গে পুলিশের বিরোধের সুযোগ নেই। ঘটনার বিষয়ে আমরা এখন কোনো বক্তব্য দেব না। তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাবো।