সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২১ জন সিনিয়র সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা হওয়ায় মামলার আসামীরা সদর থানায় অবস্থান করছেন।সাংবাদিকরা স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তারের দাবি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অবস্থান ধর্মঘট করছেন।
সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদের নেতৃত্বে সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধূরী, আনিসুর রহিম, সহ-সভাপতি আশেক ই এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কারুজ্জামান, ইয়ারব হোসেন, আব্দুস সামাদ, আব্দুল জলিল, আমিরুজ্জামান বাবু, এম জিললুর রহমান, আব্দুল গফুর, আসাদুজ্জামান সরদারসহ ২১ জন সাংবাদিক তাদের নামে দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাজানো মামলা হওয়ায় সাংবাদিকরা স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার দাবি নিয়ে সদর থানায় অবস্থান ধর্মঘট করছেন। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রথম আলো সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকগণ।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ বলেন, গত ৩০ মে দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৬৯নং মামলা করেন। এরপর জামায়াতের অর্থদাতা মনিরুজ্জামান তুহিন নামের এক সন্ত্রাসী এবং মামলার আসামি সাতক্ষীরা সদর থানায় ৫ নং মামলা করেন। এ মামলায় আসামী করা হয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধূরী, আনিসুর রহিম, সহ-সভাপতি আশেক ই এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কারুজ্জামান, ইয়ারব হোসেন, আব্দুস সামাদ, আব্দুল জলিল, আমিরুজ্জামান বাবু, এম জিললুর রহমান, আব্দুল গফুর, আসাদুজ্জামান সরদারসহ ২১ জন সাংবাদিককে। মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর থানা চত্বরে অবস্থান ধর্মঘট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন সাংবাদিকরা ।
বক্তারা এসময় স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির নাম উচ্চারণ করে বলেন, “সাতক্ষীরায় নব্য জয়নাল হাজারী সেজে সাংবাদিকেদের লেখনী বন্ধ করতে চান। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখল করতে তিনি নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন। সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা আজ নিরাপত্তাহীনতায়। সাংবাদিকরা নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। বক্তারা বিষয়টি সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।”