দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি উপায় জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, 'বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে আদালতের এখতিয়ার। যে মামলায় তিনি কারাবন্দি সে মামলা বর্তমান সরকারের ফাইল করা কোন মামলা না। এ মামলা বর্তমান সরকারের আমলে হয়নি। এ মামলা হয়েছে সাবেক তত্ববধায়ক সরকারের আমলে। এটা আদালতের বিষয়। বিএনপির আইনজীবিরা প্রমাণ করতে পারেনি যে তিনি (খালেদা জিয়া) নির্দোষ। তারপর আরেকটা পথ আছে, সামগ্রিক বেগম জিয়াকে মুক্তি দাবিতে চাপ সৃষ্ট করা। সে চাপ সৃষ্টি করার বিষয়টি ১৫ মাস বেগম জিয়া কারাগারে আছে। বিএনপি এ পর্যন্ত রাজপথে কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। জনগণ সাড়া দেয়নি। সেটা তো আমাদের দোষ না। এটা তাদের ব্যার্থতা।'
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকায় সাসেক প্রকল্পের সাইট অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ঈদে সড়কের অবস্থা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'যে দুর্ভোগ ছিল তার অবসান হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টোগ্রাম সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় যাওয়া যায়। গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ ও উত্তর জনপদের জেলাগুলোর দিকে যে যাত্রা, এ যাত্রা ইতিহাসের সব চেয়ে সস্তিদায়ক যাত্রা। যা, আমরা জনগণকে উপহার দিতে পেরেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার হিসেবে দুটি উড়াল সেতু, কয়েকটি ওভারপাস, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতিসহ অনেকগুলো সেতু উদ্ভোধনের মধ্যে দিয়ে এবারের ঈদ যাত্রাকে নিবির্ঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করেছে। এটা দেশবাসী উপলদ্ধি করছে। সড়ক নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। এবার সড়কের যাত্রাস্বস্তিদায়ক ছিল। টাঙ্গাইলে এক্সিডেন্ট ও রং সাইডে গাড়ি চালানোর জন্য কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এই মুহুর্তে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সারা দেশে গাড়ী চলছে।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, ' শৃঙ্খলা না থাকলে সড়কে জটলা হয়। নিয়ম-কানুন মেনে সড়কে চলাচল করতে হবে। সড়কের অভাব নেই। তবে ডিসিপ্লিনের অভাব আছে। সড়কে চলাচলের সময় ডিসিপ্লিন মেনে চললেই চালক, যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে স্বস্তি আসবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। শৃঙ্খলা না ফিরলে মেট্রোরেল, বিআরটি ও ফোর লেন দিয়ে কাজ হবে না। সড়কগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। এই বিষয়েউদ্ধার অভিযান চালু করা হবে।'