কুড়িগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামির হয়ে প্রক্সি দিতে এসে এক নারীর হাজতবাসের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) পবন চন্দ্র বর্মন এর কোর্টে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, একটি মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামি আবু সাইদ, মুরাদ হোসেন, মামুন, মনির, মুন্না এবং নুরিমা বেগম সোমবার স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তবে, এর মধ্যে আসামি নুরিমা বেগমের জায়গায় প্রক্সি দিতে আসেন ফেলানী বেগম নামের এক নারী।
এদিকে আবেদনের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে মামলার ৬ নম্বর আসামি নুরিমা বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক। এতে বিপাকে পড়ে যান নুরিমার হয়ে প্রক্সি দিতে আসা ফেলানী। আদালতের এই আদেশের সময় কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
পরবর্তীতে বিচারক পবন চন্দ্র বর্মন তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে জালিয়াতির ঘটনাটি বেরিয়ে আসে। ফেলানী বেগম জানান, মাত্র ২০০ টাকার লোভে নুরিমার হয়ে আদালতে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন তিনি। তাকে আদালতে প্রক্সি দেওয়ার প্রস্তাব দেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ বজলুর রহমান।
জালিয়াতির এই ঘটনায় আদালতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে জালিয়াতির এই ঘটনায় আইনজীবী মোঃ বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে মিসকেস রুজু করার আদেশ দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এছাড়াও ফেলানী বেগমকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, "এ রকম জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটি আমাদের প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির পূর্ণ সমর্থন থাকবে"।