দখল আর দূষণে মৃতপ্রায় এককালের খরস্রোতা করতোয়া নদীকে বাঁচাতে এবার প্রতিবাদে নেমেছে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাবুই’-এর শিশুরা। উদ্দেশ্য প্রিয় নদীকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ।
শুক্রবার বিকালে সংগঠনটির শিশুরা নদীর তীরে ‘ভরা নদীর তীরে বেড়ে উঠুক আমার শৈশব’ নামে সমাবেশে মিলিত হয়। নদীর তীরে শিশুদের মধুমাসের ফলের স্বাদ গ্রহণ আর কাগজের তৈরি হাজারো নৌকা ভাসিয়ে দেয়া যেন সবাইকে মনে করিয়ে দেয় করতোয়াকে রক্ষার কথা।
বাবুই’এর পরিচালক রকিবুল হাসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক, কবি ও প্রাবন্ধিক বজলুল করিম বাহার, মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আরশাদ সাইদ, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য শঙ্কর, বাবুই’এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অলোক পাল, ফারজানা নাইম কান্তা, রবিউল আলম বাবু, সমন্বয়ক পলাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেছেন, দখলদারদের দৌরাত্ম্য আর অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার বলি হয়েছে দেশের অধিকাংশ নদীর মতো করতয়াও। মুমূর্ষু এ নদীর বুকে প্রানের জলধারা ফিরে আসুক, শিশুরা বেড়ে উঠুক নদীর নির্মলতায় এমন প্রত্যাশা থেকেই শিশু পরিবারের অনাথ শিশু ও বাবুইয়ের শিশুদের সাথে নিয়ে নদী তীরেই মধুমাসের ফল উৎসব আর কাগজের নৌকা ভাসিয়ে শিশুদের ভাষায় এই প্রতিবাদের আয়োজন। শিশু-কিশোরদের নদীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশের এই অভিনব সমাবেশ ফেলে আসা কৈশরের নানা স্মৃতি হয়তো মনে করিয়ে দেবে অনেককে। আর সে আনন্দের স্পর্শটুকু আজকের শিশুদের উপহার দিবে; মনও কাঁদবে কারো কারো।
বাবুই’এর শিশু শিল্পী তরী, তিবাহ, মিহিম, দিহিম, জারা, কথা, গল্প, বুশরা, তুর্য, আর্য্য, ঐশ্বর্য, জোসিও, নাজাফারিন, সংলাপ প্রমুখ শিশুরা করতোয়াকে দেখতে চায় মায়ের কাছে শোনা গল্পের মতো স্রোতস্বিনী, দেখতে চায় নদীতে পাল তোলা নৌকা।