বয়স প্রায় একশ’ ছুঁই ছুঁই, চোখেও তেমন দেখতে পান না। কানেও শুনতে পান না ঠিকমতো। স্বামী জহুর আলী মারা গেছেন ৭-৮ বছর আগে। তবুও এতোদিন বয়স্ক ভাতা জোটেনি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের কুড়াগাছা গ্রামের বাছিরন বেওয়ার। অবশেষে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগিতায় শতবর্ষী বৃদ্ধা বাছিরন বেওয়াকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়।
১৮ জুন,মঙ্গলবার তার হাতে এ বয়স্ক ভাতা তুলে দেয়া হয়।
এলাকাবাসীর জানান, বাছিরনের কোনো ছেলে নেই। মেয়ে থাকলেও তাদের স্বামীর সংসারেই টানাটানি। ফলে বাছিরনের দেখাশোনা করার কেউ নেই বললেই চলে। এই অভাব-অনটনে কেউ কিছু দিলে বাছিরনের খাওয়া চলে, না জুটলে অনাহারে থাকতে হয়। বাছিরনের ঘরের যে অবস্থা, তাতে বৃষ্টি এলে সবকিছু ভিজে একাকার হয়ে যায়। ঝড় এলে আল্লাহর নাম নেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না। তার এই দুরাবস্থা এতোদিন কোনো জনপ্রতিনিধির নজরে আসেনি। মেলেওনি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা সমাসজেবা অফিসার শামিমা নাসরিন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “বিষয়টি ফেসবুকে দেখে আমাদের নজরে আসে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে ওই বৃদ্ধাকে মঙ্গলবার বয়ষ্ক ভাতার কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই বৃদ্ধা চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত টাকা পাবেন। এ ছাড়া প্রতি ৩ মাস পর পর ১৫শ’ টাকা পাবেন তিনি।”