গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের উত্তর গঙ্গরামপুর গ্রামে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুরে গঙ্গরামপুর গ্রামের এক দিন মজুরের শিশু কন্যাকে একই গ্রামের এমারাত মোড়লের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে। একপর্যায়ে শিশুটির মা ঘটনা টের পেলে আরথিন পালিয়ে যায়। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
শিশুটিকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার রাতেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুর মা বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। প্রথমে এলাকার লোকজন সালিশ করে দেবে বলেছিল। পরে আর কিছু করেনি। আমি এর বিচার চাই।”
এব্যাপারে স্থানীয় মাতব্বর ফিরোজ মল্লিক বলেন, “বিষয়টি আমি জানি। সত্য ঘটনা তো চাপা থাকে না। অনেকে চেয়েছিল সালিশের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। আমি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই ছেলে এর আগেও একটি মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।”
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের প্রোগ্রাম অফিসার মিনারা হোসেন বলেন, “ধর্ষণজনিত ঘটনা নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে একটি শিশু ভর্তি হয়েছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।”
মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল বাসার বলেন,“খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গিয়েছি।”
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, “অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করাহবে। আসামি গ্রেফতারের জন্যপুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, যে কোনও সময় ধর্ষককে গ্রেফতার হবে।”