কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে একের পর এক মরদেহ ভেসে আসছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে কলাতলী ভ্যালি হ্যাচারি সাগর পয়েন্ট থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে গত তিন দিনে ১০ জেলের মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। এর মধ্যে বুধবার ৬ জন, বৃহস্পতিবার ৩ জন ও শুক্রবার ভেসে এসেছে এক জনের মরদেহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার ঢাকা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘‘দুপুরে কক্সবাজার শহরের ভ্যালি হ্যাচারি পয়েন্ট থেকে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার সকালে শহরের সি-গাল সমুদ্র পয়েন্ট থেকে ৬ জন ও বৃহস্পতিবার ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওয়াজেদ উদ্দিনের ছেলে জুয়েল (১৭) ও মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মনির (৩৮)-কে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে স্বজনদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে গেছে তারা।”
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, “সাগরে ভেসে আসা ১০ জেলের মধ্যে সাত জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- ভোলার চরফ্যাশনের পুর্ব মাদ্রাস এলাকার তরিফ মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫), চরফ্যাশনের উত্তর মাদ্রাস এলাকার নুরু মাঝির ছেলে অলি উল্লাহ (৪০), একই এলাকার ফজু হাওলাদারের ছেলে অজি উল্লাহ (৩৫), মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৩৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০), নজিব ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬) এবং চরফ্যাশন রসুলপুর এলাকার আসমান পাটোয়ারির ছেলে সামশুদ্দিন পাটোয়ারি (৪৫)। বাকি তিন জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
তিনি আরও জানান, দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে বিধ্বস্ত ট্রলারটির মালিকের নাম ওয়াজেদ উদ্দিন ওরফে পিটার। তাকে কক্সবাজার থেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদের স্বজনরা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই ভোলা চরফ্যাশনের শামরাজ ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য ১৪ জন জেলেকে নিয়ে সাগরে নামে একটি ট্রলার। শনিবার ভোরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলার থেকে ছিটকে পড়েন জেলেরা। পরে ট্রলারটিও উল্টে গেলে ভেতরে থাকা সব জেলে নিখোঁজ হন।