ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলে প্রায় সব কয়টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই)সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সে.মি., ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮৯ সে.মি. এবং ঝিনাই নদীর পানি ৪৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে যমুনা নদী তীরবর্তী ভূঞাপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে এবং বেশকিছু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে, ভূঞাপুরে বানের পানিতে ডুবে জিহাদ (১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি ওই গ্রামের বিদ্যুৎ মিঞার ছেলে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা নদীগুলোতে আরো পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর পানি কমলে এসব এলাকায় ভাঙন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনরোধে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।”