নিহত এই বাংলাদেশি প্রবাসী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রামের অধিবাসী। গত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ নর্থ লডারডেল সিটির ১৬৯১ সাউথ স্টেট সড়কে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে মাথায় গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন স্টেট পুলিশ।
ফ্লোরিডা স্টেট শেরিফের হোমিসাইড শাখার অফিসার জেমস হাইয়েস গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, গুলির খবর পেয়ে লডারডেল লেইকস ও টামারাক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলীকে নিকটবর্তী ব্রাউয়ার্ড হেল্থ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাউথ টেট সড়কের পার্শ্ববর্তী ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষার পর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে স্থানীয়দের সাহায্য চেয়েছে ব্রাউয়ার্ড শেরিফ অফিস।
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন আইয়ুব আলী। বছর দশেক আগে এই দোকানটিও কিনেছেন তিনি। পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়ির মালিক আইয়ুব। সেখানে তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফ্লোরিডায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “স্টোর থেকে কিছুই লুট হয়নি। তাই এটা ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। এটা হেইট ক্রাইম।”
মঙ্গলবার সকাল থেকে আইয়ুব আলী একাই তার দোকানে কাজ করছিলেন । তাকে গুলি করার মুহূর্তে অন্য কেউ সেখানে ছিল কি না তা এখনও জানায়নি পুলিশ।
যুবলীগের এই নেতাকে হত্যার সংবাদে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা, ঢাকা ক্লাব, নাগরিক, ফ্লোরিডা চেম্বার অব কমার্সের নেতারা হাসপাতালে যান এবং আইয়ুব আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
পরে মর্গ থেকে লাশ নিয়ে স্থানীয় মসজিদে জানাজার পর দাফনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেবেন বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।