সাভারের আমিনবাজারে তুরাগ নদীর ওপর অবস্থিত সালেহপুর সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যাওয়ার ছয়দিনেও সন্ধান মেলেনি ট্যাক্সি ক্যাবটির। তবে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল এখনো ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত রাখলেও তাদের পরিসর ছোট করা হয়েছে। বর্তমানে ডুবুরিসহ ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্য ঘটনাস্থলে রয়েছে। অন্যদিকে নৌ-বাহিনীর দল প্রতিদিন রাতে চলে গিয়ে পরেরদিন সকালে ঘটনাস্থলে আসলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি তাদের কোনও সদস্য ।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের জোন ৪ এর জেনাল কমান্ডার আনোয়ারুল হক বলেন, “নৌ-বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে উদ্ধারকাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা হতে পারে।” তবে কবে নাগাদ ঘোষণা হতে পারে সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
তিনি আরো বলেন, “নদীর স্রোত আর পানি বৃদ্ধির কারণে উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলের ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ডুবুরি ও নৌ-বাহিনীর স্ক্যানার মেশিন দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এরপরও খোঁজ পাওয়া যায়নি ক্যাবটির। নৌ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি চালিয়েও সন্ধান না পাওয়ায় বর্তমানে তাদের পরিসর ছোট করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি বাসকে অতিক্রম করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তুরাগ নদীতে পড়ে যায় হলুদ রঙের একটি ট্যাক্সি ক্যাব। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দিন রাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরের দিন নৌ-বাহিনীর একটি দলও তাদের সাথে যোগ দেয়। আনা হয় স্ক্যানার মেশিন। ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে পরিচালনা করা হয় তল্লাশি। এতো কিছুর পর ট্যাক্সি ক্যাব ও চালকের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।