কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ঘটনায় তিনজন ডাকাত ও একজন ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউল্লাহঘোনা নামক পাহাড় ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাপাড়া এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, মো: জুনায়েদ (৩৬), আইয়ুব (৩০), মেহেদী হাসান (৩৫) ও ইমরান (৩২)। এসময় পুলিশের এএসপিসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি দেশীয় এলজি অস্ত্র, পাঁচটি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, “রাতে টেকনাফ উপজেলা নুরুল্লাহঘোনা পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার ১০/১৫ জন ডাকাত অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ।”
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ডাকাতদল এলোপাথাড়ি গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, ওসি প্রদীপ, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কং মেহেদী গুলি বিদ্ধ হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আইয়ুব, মেহেদী হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারসদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া নামক স্হানে দুই ইয়াবাকারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ইমরান মোল্লা নামে এক ইয়াবা কারবারি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, “রাতে ওই স্থানে দুই ইয়াবাকারবারি গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। এসময় আহত অবস্থায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা গিয়ারকুল এলাকার মিজান মোল্লাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।