ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “ঢাকা সিটিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যতই মুখে নিয়ন্ত্রণের কথা বলি না কেন, এখনও এটা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাস্তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে।"
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলায় দলটির এক বিশেষ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন এ খবর জানায়।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, "এডিস মশার হাত থেকে বাঁচতে, দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে একযোগে মাঠে নামতে হবে। তা না-হলে মন্ত্রী-এমপি কেউই রেহাই পাবেন না।"
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মী অনেকের মাঠে না নামার তথ্য তার কাছে রয়েছে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "এডিস মশা ভয়ঙ্কর। এই এডিস মশা কারও চেহারার দিকে তাকায় না, আপনি কাউন্সিলর, আপনি কি নেতা, আপনি কি মন্ত্রী, এমপি, মেয়র কোনও দিকেই তাকাবে না। এডিস মশা সামনে পেলেই রক্ত খাবে। এমপি’র রক্ত খাবে, মন্ত্রীর রক্ত খাবে, নেতার রক্ত খাবে, কাউন্সিলরের রক্ত খাবে, কাউকে ছাড়বে না। সাংবাদিকদেরও রেহাই নেই। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে, সাবধান হতে হবে। আমাদের যে করণীয় তা পালন করতে হবে। ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ-ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’, এই কথা শুধু মুখে নয় অ্যাকশনেও বাস্তবায়ন করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ফটোসেশন করার জন্য এই অভিযান নয়। আমরা দেখতে চাই, ঢাকা সিটির প্রত্যেক ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। নেত্রী এটা জানতে চেয়েছেন। নেত্রী জানতে চেয়েছেন, কয়টা ওয়ার্ডে তার (নেত্রীর) নির্দেশনা পালন হয়েছে।"
কতজন নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন, জানতে চাইলে সভায় ১৩ জন হাত উঁচু করেন। এ সময় কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কাদের বলেন, "বিশ্বে নোংরা শহরের মধ্যে আমরা চার নম্বরে। তাহলে কেন এডিস মশার প্রজনন হবে না। কেন বংশবিস্তার হবে না। আরও অনেক ভয়ঙ্কর চিকুনগুনিয়ার মতো ব্যাধিতে অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে। ঢাকাকে ক্লিন করতে হবে, ঢাকাকে গ্রিন করতে হবে। আমাদের এবং প্রতিনিধিদের যৌথভাবে মাঠে নামতে হবে।"
বিশেষ সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের অন্তর্গত সব থানা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সব দলীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ দলীয় ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত সব সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।