টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে টোল আদায় বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
বেলা সাড়ে বারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় দায়িত্বরত মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “সকালে বঙ্গবন্ধুর সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের অংশে দুর্ঘটনার ঘটে। এতে অনেক গাড়ি সেতুর ওপরে আটকা পড়ে। যে কারণে সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটে টোল আদায় বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এর আগেও সকালে দুই দফায় সেতুর টোল আদায় এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।”
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে ৩০ হাজার ৮৫৯ টি যানবাহন পারাপার হয়। এসময় মোট আদায় হওয়া টোলের পরিমাণ ২ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬১ টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৪০ কি.মি রাস্তায় ধীরে ধীরে চলছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যরাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট দেখা দেয়। এছাড়া, মধ্যরাতে মহাসড়কের দুটি পয়েন্টে গাড়ি বিকল এবং কয়েকটি জায়গায় বড় গর্তের কারণে যানবাহনের গতি কমে যানজটের দেখা দেয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “যানজট নিরসনে পুলিশ মহাসড়কে সব সময়ই সর্তক অবস্থানে রয়েছে। যানজট নিরসনে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটারে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং থানা পুলিশসহ প্রায় ৬৭০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া, সহজে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৩৭ টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম ও ৩৫টি পিকেট টিম কাজ করছে। এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ককে মোট ৪ টি সেক্টর ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।”