আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দুই শিক্ষকসহ ১০জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলে এঘটনা ঘটে।
এর জেরে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন ও এস এম ধ্রুবের সমর্থকদের মধ্যে হলে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় হলের ৭-৮টি কক্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৫জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের দুইপক্ষের মধ্যকার এবিবাদ সমাধানের জন্য রবিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট, ডিন ও চেয়ারম্যানসহ দুই গ্রুপের ছাত্রদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালেই ফের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শুরু হয়। শিক্ষকরা থামানোর চেষ্টা করলে, আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক ইকবাল হোসেনসহ আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন ও সেক্রেটারি এস এম ধ্রুব সমর্থকদের মধ্যে নতুন হলে ছাত্রদের সিট বরাদ্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম জানান, বিবাদ সমাধানের জন্য শিক্ষরা ছাত্রদের দু’গ্রুপ নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিরাসহ সমাধান করার চেষ্টা করেন। এসময় তারা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই শিক্ষক ও তিন ছাত্রসহ পাঁচজন আহত হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের দুইপক্ষের মধ্যে গত দুইদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।