Thursday, March 27, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

প্রধানমন্ত্রী: ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুসরণ প্রয়োজন

‘যখনই আমি বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব, তার ত্যাগ এবং মানুষের পক্ষে সংগ্রামের দিকটি লক্ষ্য করেছি তখনই আমি তার মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর সাথে অনেক বড় মিল খুঁজে পেয়েছি’

আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০০ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, মহাত্মা গান্ধীর মানবিক আদর্শ ও নীতি সব বিভাজনকে দূরে ঠেলে ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। কারণ সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা, ঘৃণা ও ধর্মান্ধতা মানবজাতিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি বিভক্ত করছে।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ইকোসক চেম্বারে ভারতীয় মিশনে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করছি, যেখানে ঘৃণা ও গোঁড়ামি সন্ত্রাসবাদের দিকে পরিচালিত করছে এবং সহিংস চরমপন্থা মানবজাতিকে আগের চেয়ে আরও বেশি বিভক্ত করছে। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মতো চ্যালেঞ্জকে কার্যকরভাবে মোকাবিলায় গান্ধীর জীবনদর্শন এবং সবমানুষের প্রতি তার অটল বিশ্বাস আজও আমাদের একত্রিত করতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাত্মা গান্ধী একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, একজন রাষ্ট্রনায়ক ও একজন সাধু। তিনি তার সমস্ত জীবন মানবজাতির জন্য উৎসর্গ করেছেন। তিনি ছিলেন আশার আলো, অন্ধকারের আলো ও হতাশার ত্রাণকর্তা।”

“তার উজ্জ্বল ও মন্ত্রমুগ্ধ নেতৃত্ব বিশ্বকে দেখিয়েছিল কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়া অহিংস উপায়ে পৃথিবী কাঁপানো সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা সম্ভব” যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সামাজিক অবস্থান, মানুষে প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালোবাস, স্নেহ ও মমতা তাকে ‘মহাত্মা’ বানিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের দখলদার হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গণহত্যা চালালে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মর্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

“যখনই আমি বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব, তার ত্যাগ ও মানুষের পক্ষে সংগ্রামের দিকটি লক্ষ্য করেছি তখনই আমি তার মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর সাথে অনেক বড় মিল খুঁজে পেয়েছি,” যোগ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, “মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সম্পদের স্বল্পতা ও অন্যান্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভালোবাসা ও মমতা দেখিয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে গুণটি আমরা বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে দেখেছি।”

   

About

Popular Links

x