নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক ওই জেলা প্রশাসককে বহিষ্কার করা হলেও শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তা প্রকাশ পায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত) মো. মনির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন - জামালপুরের ডিসির আপত্তিকর ভিডিও, তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
মো. মনির উদ্দিন বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। এরপর বিধি অনুযায়ী অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে ‘খন্দকার সোহেল আহমেদ’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সিসিটিভিতে ধারণ করা ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিও ফুটেজে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৩ আগস্ট জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে তার কার্যালয়ের এক নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। মুহুর্তে ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। জেলা প্রশাসক প্রথমে ভিডিওটি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করলেও পরে স্বীকার করে নেন যে, ভিডিওটিতে দেখানো কক্ষটি তার অফিসের বিশ্রাম নেওয়ার কক্ষ এবং ওই নারী তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক। এ ঘটনায় জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন - ফেসবুকে 'জামালপুরের ডিসির' আপত্তিকর ভিডিও!
পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসককে আহমেদ কবীরকে মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জামালপুরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রায় এক মাস পর গত রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আহমেদ কবীরকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মো. মনির উদ্দিন।
তবে প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি এই অতিরিক্ত সচিব।