কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেতন কাঠামো উন্নয়নের দাবিতে পুলিশি বাধার কারণে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ করতে পারেননি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যোগ দিলে তাদের পুলিশ বাধা দেয়। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেন তারা। এসময় আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ করার জন্য সময় বেঁধে দেন তারা। এরমধ্যে বেতন বৈষম্যের নিরসন না হলে, একইসঙ্গে এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা না করা হলে, আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বর্জন করবেন বলেও হুমকি দেন শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ১১তম গ্রেডে, প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষক ১২তম গ্রেডে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষক ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা আব্দুল মালেক নামে এক শিক্ষক ঢাকা ট্রিবিউন’কে বলেন, “প্রধান শিক্ষকদের ১০ নং গ্রেডে বেতন হওয়া উচিত, সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে বেতন ভাতার অসামঞ্জস্যতা বন্ধ করার দাবিতে এই আন্দোলন।”
বিষয়টি বিবেচনায় এনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১২তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলে ১০তম গ্রেডে উন্নীতকরণের প্রস্তাব দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে এবছর ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানায় অর্থ মন্ত্রণালয় ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১০ ও সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১২তে উন্নীতকরণের সুযোগ নেই।”
প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিদ্যমান বেতন যথাযথ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোতে ৩ লাখ ২৫ হাজার সহকারী শিক্ষক ও ৪২ হাজার প্রধান শিক্ষক রয়েছেন।
এদিকে, দোয়েল চত্বর থেকে শুরু করে পর্যন্ত শিক্ষকদের অবস্থানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।