শুক্রবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সদরে শারমীন আক্তার নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান। সদর উপজেলাটির চৌফলদন্ডী কালু ফকিরপাড়া এলাকার এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শারমীন কক্সবাজার জেলা সদরের আদর্শ বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া এলাকার মো. আলীর মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে শুক্রবার বিয়ে ঠিক করা হয় ইসলামাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ খোদাইবাড়ী এলাকার মোহাম্মদ বশিরের ছেলে মো. রুহুল আমিনের। বিয়ের কাবিননামা করার জন্য কনের পরিবারের পক্ষ থেকে বয়স বেশি দেখিয়ে একটি ভূয়া জন্মসনদ তৈরি করা হয়। ওই জন্মসনদ দিয়ে কাবিননামা সম্পন্নও করা হয়। মেধাবী ছাত্রী শারমিনের বাল্যবিয়ের খবরটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসানের নজরে আসলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে ভেঙে দেন।
চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল বলেন, “শারমিন নামের ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) জানতে পারি আমি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাই। পরবর্তীতে শুক্রবার দুপুর ১২টায় ইউএনও স্যার উপস্থিত হয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করেন। পরে শিক্ষার্থীকে আমার জিম্মায় দেন ইউএনও।”
আবু বক্কর নামের এক কাজী শারমিনের কাবিননামা সম্পন্ন করে। আবু বক্করের বিষয়ে ইউএনও বলেন, “বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাকে (কাজী) ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক তিনি ফোন বন্ধ করে দেন। তার (কাজী) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”