যশোরের চৌগাছায় প্রতিবেশী দাদা কর্তৃক এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর মেয়েটির অভিযুক্ত দাদা কুরবান আলীর (৫০) নামে মামলা করা হয়েছে।
কুরবান আলী চৌগাছা উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে। এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে ২২ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার জন্যে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও লোকলজ্জা ও হুমকির ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু ওই ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) মেয়েটিকে চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার মা সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটি প্রায় পাঁচ বছর প্রতিবেশী দাদা কুরবান আলীর বাড়িতে কাজ করতো। কয়েক মাস আগে থেকে বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন কুরবান। এসব কারণে মেয়েটি ওই বাড়িতে কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়েটি যখনই গোসল করতে পুকুরে যেতো তখন কুরবান আলীও সেখানে যেতেন।
গত ২৩ অক্টোবর মেয়েটি গোসল করতে নামলে কুরবান তাকে জড়িয়ে ধরেন ও শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন। মেয়েটি কোনোরকমে নিজেকে ছাড়িয়ে ওই গ্রামেই তার ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেদিন তাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় বলে মেয়েটি জানায়।
পরদিন ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় গ্রামের একটি দোকানে যাওয়ার পথে কুরবান আলী পেছন থেকে গামছা দিয়ে মেয়েটির মুখ চেপে কাঁধে তুলে তাদের একটি কলাক্ষেতে নিয়ে যান ও সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়ে দেবে এমনটি জানালে মেয়েটির মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন কুরবান। একইঙ্গে ঘটনা জানাজানি হলে মেয়েটির বাবা-মাকে হত্যা করা হবে শাসান কুরবান। এ কারণে ভয়েই ঘটনাটি চেপে যায় মেয়েটি। বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে ধর্ষণের ঘটনাকি মাকে জানায়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যায়নি। তবে অবস্থার অবনতিতে একপর্যায়ে মেয়েটিকে চৌগাছা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানতে চাইলে চৌগাছা থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “মেয়েটির পরিবার খুবই দরিদ্র। ধর্ষক স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় মেয়েটির পরিবার প্রথমে বিষয়টি গোপন রেখেছিল। এ ঘটনায় আজ (বুধবার) মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কুরবান আলী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকে অভিযান চলছে।”