নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় কয়েক কিশোরের বুদ্ধিতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলা থেকে দক্ষিণে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাণীনগর স্টেশন আউটারে চকের ব্রিজের আগে বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় রেললাইনের নিচের অংশ প্রায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে ছিল। রেললাইন পার হওয়ার সময় বিষয়টি কয়েকজন কিশোরের নজরে আসে। লাইনটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিলো। এরপর তারা ভাঙা রেললাইনের পাশে অপেক্ষা করতে থাকে। এরমধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস রাণীনগরে ঢুকছিল। তাৎক্ষণিক তারা লাল গেঞ্জি উঁচিয়ে ট্রেন থামার জন্য সংকেত দেয়। এসময় ট্রেনচালক রেললাইনের ভাঙা অংশের আগে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর ট্রেনচালক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক জানান, রাণীনগরের বড়বড়িয়া এলাকায় স্থানীয় কিছু কিশোর রেললাইনের ওপরের অংশে ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে গামছা, গেঞ্জি উড়িয়ে সংকেত দিয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করে। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের আইডব্লিউ একটি দল এসে লাইন মেরামত করে দুইপাশে আটকে থাকা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে।
আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, রেললাইনের একটি অংশ ভাঙা থাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেমে যায়। এতে রানীনগরে আটকা পড়েছিল ঢাকাগামী আন্তনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। এছাড়া আত্রাই আহসানগঞ্জে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে রেললাইনের ভাঙা ওই অংশ সরিয়ে সেখানে আরেকটি পাত বসিয়ে সংস্কার করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।