ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে 'বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কতৃর্পক্ষ’র (বেপজা) গভর্নর বোর্ডের ৩৪তম সভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
ভবিষ্যতে ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "রেলে যারা কাজ করেন তাদেরকে আরো শক্ত (দক্ষ) করা উচিত এবং সেই সাথে সাথে আমাদের রেল চালকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।"
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জানি না কেন শীত মৌসুম আসলেই কেবল আমাদের দেশেই নয়, সমগ্র বিশ্বেই রেলের দুর্ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়।"
ট্রেন দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা বুলবুলের মত সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও নিজের রক্ষা করতে পারলাম কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এ ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি এবং বহু আহত হয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন।
উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রেলমন্ত্রী ইতোমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।"
তিনি বলেন, "আমরা রেলের বহরে নতুন নতুন ট্রেন যোগ করে রেলকে সম্প্রসারিত করে দিচ্ছি। কারণ মানুষ এবং পণ্য পরিবহনে রেল সবথেকে নিরাপদ যান।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।