খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী পুনাতি ত্রিপুরা কৃত্তিকাকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা মামলায় ৩ সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলো, দীঘিনালার বড় মেরুং এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে শাহ আলম ৩৩, একই এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম ৩২ ও মধ্য বোয়ালখালি এলাকার ফজর আলীর ছেলে মনির হোসেন ৩৮।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার দীঘিনালা উপজেলার নয় মাইল তপন কার্বারী পাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে ত্রিপুরা শিশু পুনাতির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত পুনাতি ত্রিপুরা একই এলাকার মৃত নরোত্তম ত্রিপুরার মেয়ে। স্থানীয় নয়মাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত রোববার সকালে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় মেম্বার গণেশ ত্রিপুরা বলেন, নিহত ছাত্রীর মা জুম ক্ষেত থেকে ফিরে মেয়েকে না দেখে স্বজন ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ির নিচের জঙ্গল থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
গত রোববার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান এলাকায় গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের খুঁজে বের করার আশ্বাসের ভিত্তিতে বেলা ১টায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
একই দিনে এই ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। পরে বিকেলে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রিটন চাকমা ও সদস্য জুনান চাকমা বক্তৃতা করেন।
বক্তারা ধর্ষকদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একই দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনও জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে।