নীলফামারীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোড়পূর্বক গর্ভপাত করিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরবর্তীতে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে আটক করে হত্যার চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে কিশোর স্বামীর বিরুদ্ধে।
আজ (৩০ জুলাই) সকালে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
পরে ডিমলা থানার এসআই মোকছেদুল ইসলাম ও এসআই রহিমা বেগম মেয়েটির অভিভাবকসহ প্রেমিকের বাড়ী থেকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রেমের এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেন প্রেমিক জয়কান্ত রায়। চলতি বছরের ৭ জুলাই রাতে সোনাখুলি গ্রামের সুভাশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে ও চাপানি সোনাখুলি সৈকত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সুধা রানীর বিয়ে হয় একই এলাকার ননী চন্দ্র রায়ের ছেলে জয়কান্ত রায় (১৫) সাথে।
দীর্ঘদিন প্রেমের সুত্রে দৈহিক সম্পর্কের কারণে সুধা ৬ মাসের গর্ভবতী হলে গত ৮ জুলাই আদালতে এফিডেফিট করে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সুধার বাবা সুভাশ চন্দ্র রায় বসতবাড়ীর ১০ শতক জমি বিক্রি করে মেয়ের যৌতুক দিলেও বিয়ের ২০দিনের মাথায় জোরপূর্বক গর্ভপাত করান তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বুধবার (২৪ জুলাই) তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। বাড়িতে আসার পর তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি তাকে কোনো খাবারও দেননি শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন।
এ ব্যাপরে, সুধার কাকা ধনঞ্জয় রায় বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুধা রানী অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুড় ধনঞ্জয় রায় (৫৫), শাশুড়ী মালতী রানী (৫২), স্বামী জয়কান্ত রায় (১৫), ভাসুর হিমান্ত (৩২), অনন্ত রায় (৩০), কাকা শ্বশুড়ের ছেলে গৌতম কুমার রায় (২৮), মহাদেব চন্দ্র রায় (২৫) এরা সব সময় নির্যাতন করতেন।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, মেয়েটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।