কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৯৬ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণের পর তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, "যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মসমর্পন করতে এসেছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে। আর যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তারা সময় থাকতে আইনের আওতায় চলে আসুন। না হয় পরিণতি ভাল হবে না।"
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে ১৮ বাহিনীর এসব জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগররা আত্মসমর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারীরা ১৩টি ৩০৩ রাইফেল, ১টি দেশীয় তৈরী দোনলা বন্দুক, ১৪১টি একনলা বন্দুক, ২৮টি ৩০৩ রাইফেলের গুলি ও ২৫৫টি কার্তুজ জমা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, "মহেশখালীতে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন খুন ও ধর্ষণ ছাড়া আত্মসমর্পণকারীদের বাকি সব মামলা তুলে নেওয়া হবে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।"
"যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি, তাদের পরিণাম ভালো হবে না। এখনও সময় আছে দ্রুত আত্মসমর্পণ করুন। না হলে তাদেরকে আইনের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে", যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "যারা জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাদের প্রত্যেকের নাম পরিচয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে চলে এসেছে। তাদের সহায়তাকারী প্রভাবশালী গডফাদারদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।"
অনুষ্ঠানের পর অস্ত্র আইনের মামলায় আত্মসমর্পণকারীদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন।