খালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা সেতু। দীর্ঘদিন আগে ভেঙে যাওয়া সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করায় ও বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়েই সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
এভাবেই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া উজানভাটি খালের ওপর সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ছৈফাগঞ্জ বাজারে আসা-যাওয়া, শিক্ষার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে এ ভাঙা সেতুটি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ছয়বছর আগে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর সংলগ্ন উজানভাটি খালের পূর্ব মুখে দীর্ঘদিনের পুরনো এ সেতুটি ভেঙে গেলে অসুবিধায় পড়েন ইউনিয়নের বাওয়ানপুর, তবলপুর, নুরপুর, মুছেধরপুর, কায়স্থ গ্রামসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে বাধ্য হয়েই তার সেতুটির ওপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন।
বর্তমানে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
তবলপুর গ্রামের ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘‘সঠিকভাবে নির্মিত না হওয়ায় নির্মাণের কয়েক বছর পরেই ভেঙে যায় সেতুটি। প্রায় ছয়বছর ধরে আমরা বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে আসছি।’’
ছৈফাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজনা বেগম বলেন, ‘‘অনেক নারী ও শিশু বাঁশের সাঁকো কিংবা নৌকা পারাপারে ভয় পায়। জীবিকার তাগিদে চাকরি করি তাই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।’’
সেতুটির বেহাল দশার কারণে এলাকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘‘সেতুটির বিষয়ে আমি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েছি। খুব শিগগিরই এটির মেরামত কাজ শুরু হবে।’’