গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার দায়ে ৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ডা. আবদুল কাদের খান, তার একান্ত সহযোগী মো. শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম রানা। রায় ঘোষণার সময় তারা সবাই আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন।
মামলার অন্য দুই আসামির একজন কসাই সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। আর দেশের বাইরে আত্মগোপনে আছেন আরেক আসামি চন্দন কুমার রায়। তবে চন্দনকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবিরা।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামের মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় এমপি লিটনকে।
ঘটনার পরদিন অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল।