ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে “ছাত্রলীগের দালাল” বলেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে দেখতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদেরকে নিয়ে এ মন্তব্য করেন। এসময় শাহবাগ থানার ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে ছিল।
এর আগে, রবিবার দুপুরে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের (বুলবুল-মামুন গ্রুপ) যৌথ হামলায় আহত হন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তাদের হামলায় নুর ছাড়াও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ২৪ জন আহত হন। আহত ডাকসু ভিপিকে দেখতে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ঢাবি ভিসি।
সরেজমিন জানা যায়, ভিপি নুরকে দেখতে ঢাবি ভিসি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেলে শিক্ষার্থীরা তার কাছে ছাত্রলীগের এ হামলার বিচার দাবি করেন।
এসময় ভিসির কাছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহ উদ্দিন সিফাত বলেন, “ডাকসু ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলার সময় আমি প্রক্টর স্যারের কাছে বিচারের দাবি নিয়ে গেলে তিনি আমাকে বলেন, তুমি বেশি নেতা হয়ে যাচ্ছ। তোমাকে বহিষ্কার করব। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী, তিনি আমাকে রক্ষা না করে উল্টো বহিষ্কার করার কথা বলছেন, পুলিশে দেওয়ার কথা বলছেন। ”
শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা আপনাদের (ঢাবি ভিসি ও প্রক্টর) চাই না। যদি মনে হয়, আপনারা এর বিচার করতে পারবেন না, দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তাহলে পদত্যাগ করুন।”
ডাকসুর ভিপিকে কিভাবে দরজা বন্ধ করে পেটায় তার উত্তর চায় শিক্ষার্থীরা। তারা বলতে থাকে, “ছাত্রলীগের হয়ে আপনারা দালালি করতে এসেছেন।” এসময় কিছুক্ষণ প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ভিসি ও প্রক্টর চলে যেতে চাইলে “নির্লজ্জ ভিসি”, “ধিক্কার, ধিক্কার”, “দালাল ভিসি, ধিক্কার, ধিক্কার”, “দালাল প্রক্টর, ধিক্কার, ধিক্কার” বলে স্লোগান দিতে থাকে তারা।