এখন থেকে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ডিএনসিসি গুলশানের নগর ভবনে কিউলেক্স ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে ইউএনবি'র একটি খবরে বলা হয়।
আবদুল হাই বলেন, "ভালোবাসা দেয়ার দিন শেষ, এখন থেকে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথেষ্ট প্রচার করা হয়েছে। জনগণ এখন জানেন কেন ডেঙ্গু হয়, কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়। এরপরও যদি কেউ সচেতন না হন, তাকে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে।"
এ সময় তিনি মশা নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে যারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, "মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ডিএনসিসির সম্পদ (রিসোর্স) বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক কীটতত্ববিদদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "কিউলেক্স মশা নির্মূলে গবেষণা করে সম্ভাব্য প্রজননক্ষেত্র (হটস্পট) চিহ্নিত করে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। ডেঙ্গুর কারণে যাতে আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে সে জন্য ডিএনসিসি সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।"
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিউল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, কীটতত্ববিদ ডা. সাইফুর রহমান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। গত বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে এক লাখ ১ হাজার ৩৭ জন বাড়ি ফেরেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ২০১৯ সালে ২৬৬টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর প্রতিবেদনের মধ্যে ২৩৪টি ঘটনা পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করে।
তবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এখনো ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্ত থেমে নেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোতে ৪৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৫ জন।