গত ১৮ দিন ধরে তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পঞ্চগড়। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র ও ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি ২০ দিনের মধ্যে মাত্র দু'দিন অন্যত্র (দিনাজপুর ও রাজশাহী) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করেছিল। টানা কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। টানা কনকনে শীতে রোজগার কমে গেছে কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, রিক্সাভ্যান চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম রহিদ জানান, ভোররাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার পর আকাশ পরিস্কার থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশংকা রয়েছে।
আরও পড়ুন - রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা, আরও কমতে পারে তাপমাত্রা
কিছু কিছু এলাকায় ফসলের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। অবশ্য কৃষি বিভাগ পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। শীতজনিত রোগে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে ভিড় দেখা গেলেও ভর্তির সংখ্যা কম। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মাত্র ১০ জন রোগী ভর্তি আছে।
এদিকে, সকালে তীব্র শীতের মধ্যেও সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে মাঝেমধ্যেই মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ছে সূর্যের কিরণ।
শীতার্ত মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।