রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চারটি অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আইসিজে'র আদেশগুলো জনসাধারণের বোঝার সুবিধার্থে একটি ইউটিউব ভিডিও'তে ইংরেজি, বাংলা ও রোহিঙ্গা ভাষায় সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আইনি সহযোগিতা দেওয়া "লিগ্যাল অ্যাকশন ওয়ার্ল্ডওয়াইড" (এলএডাব্লিউ) এর কার্যনির্বাহী পরিচালক ও ব্রিটিশ আইনজীবী অ্যান্টনিও মালভি।
এলএডাব্লিউ'র অফিসিয়াল ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে মালভি বলেন, "গতবছর হেগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার সূচনা হয় যেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করে। সেখানে আইনজীবীরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনও অবস্থানরত প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকদের রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক আদালতকে কয়েকটি অনুরোধ করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) আদালত সম্মত হয়েছে যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অবশ্যই হত্যা ও যৌন সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আদালত মিয়ানমারকে গণহত্যা সংক্রান্ত যেসব সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে তা ধ্বংস না করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং আদালতকে জানাতে বলেছেন যে তারা কিভাবে এই রায় মান্য করবে?"
তিনি আরও বলেন, "এটা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য অসাধারণ একটি রায়। এই সিদ্ধান্ত মান্য করা বাধ্যতামূলক অর্থাৎ আইনি ভাষায় বলা হয়েছে যে মিয়ানমারকে তেমনটাই করতে হবে যেমনটা আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।"
এলএডাব্লিউ-এর পরিচালক বলেন, "এই মুহূর্তে আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানা প্রয়োজন। আজকের দিনটা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ মাত্র। এই মামলা আরও ৫ বছর চলতে পারে। মিয়ানমার গণহত্যা করেছে কিনা সেবিষয়ে বিচারকরা কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আজ শুধুমাত্র সেই চেষ্টাটাই করা হয়েছে যাতে রোহিঙ্গাদের আর কোনো অত্যাচার না করা হয়। তাই আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। গাম্বিয়ার আইনজীবীরা এই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন, যা এবছরের অক্টোবরে শুরু হবে।"