কুমিল্লায় হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক সার্জনের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ও জেলা সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এই অভিযোগ করা হয়।
কুমেকের সহকারী অধ্যাপক ও নগরীর সিডি প্যাথ এন্ড হসপিটালের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ডা. জুবায়ের আহমদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন ওই রোগী।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে হার্নিয়ার ব্যথার কারণে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে কুমেক হাসপাতালের একজন ডাক্তারের চিকিৎসা নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর হার্নিয়া চিকিৎসা দেন তারা। পরবর্তীতে হার্নিয়ার তীব্র ব্যথা অনুভব হলে তিনি কুমেক’র সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. জুবায়ের আহমদ (এমবিবিএস, এফিসিপিএস) এর স্মরণাপন্ন হলে তিনি পুনরায় রোগীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নগরীর সিডি প্যাথ এন্ড হসপিটাল (প্রা.) লি. এ ভর্তি হয়ে অপারেশনের পরামর্শ দেন। গত ২৪ জানুয়ারি ওই হসপিটালে ডা. জুবায়ের রোগীর অপারেশন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, কিছুদিন পর আবারও আগের মতো হার্নিয়ার ব্যথা অনুভূত হলে রোগী ওই ডাক্তারের কাছে যান। তখন ডাক্তার হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করে ফেলেছেন বলে ওই রোগীকে জানান।
রোগী জানান, তার সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে অ্যাপেন্ডিসাইটিস “নরমাল” উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ডা. জুবায়ের আহমদ অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের মাধ্যমে ভুল চিকিৎসার কারণে হার্নিয়ার তীব্র ব্যথা নিয়ে তিনি হার্ট ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আর্থিক ক্ষতিসহ জীবনঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এবিষয়ে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে ডা. জুবায়ের আহমদ সেলফোনে বলেন, রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইটিসেরও সমস্যা ছিল, তাই অপারেশন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর সাথে আসা একজন বলেছে রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা আছে। তবে রোগীর হার্নিয়ার সমস্যাও আছে।
রোগীর সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নরমাল উল্লেখ থাকলেও কেন অপারেশন করা হলো এমন প্রশ্নে, “আমি এখন চট্টগ্রামে আছি, কুমিল্লা ফিরে কথা বলব “ বলে সংযোগ কেটে দেন।
এবিষয়ে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, “অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”