পদ্মার এই ভাঙনকে একেবারেই স্বাভাবিক একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইর্মাজেন্সী বলে কিছু নেই। যেখানে প্রজেক্ট রয়েছে, সেখানে কাজ হচ্ছে। নড়িয়া একমাত্র জায়গায় নয়, যেখানে ভাঙন হচ্ছে'।
শরিয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় ভাঙনের জন্য টিনের বদলে পাকা দালান নির্মাণকে দায়ী করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সম্প্রতি সময় টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনে তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মার এই ভাঙনকে একেবারেই স্বাভাবিক একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইর্মাজেন্সী বলে কিছু নেই। যেখানে প্রজেক্ট রয়েছে, সেখানে কাজ হচ্ছে। নড়িয়া একমাত্র জায়গায় নয়, যেখানে ভাঙন হচ্ছে। এটা নদী ভাঙনের দেশ। এখানে আগে টিনের ঘর করতো। এখন দালান করেছে। ভাঙবেই-তো’।
তবে, পানিসম্পদমন্ত্রী ভাঙনের জন্য ভাঙনের শিকার মানুষজনের উপরেই দায় চাপালেও বিশেষজ্ঞদের এব্যাপারে রয়েছে ভিন্নমত। তারা তীরবর্তী মানুষের এই দুর্দশার জন্য ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব এবং ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের ধীরগতিকে দায়ী করেছেন। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই দায়ী বলে মনে করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক ইনামুল হকের ভাষ্য, ‘প্রতিরক্ষা কাজগুলো এমন, যদি ঠিকমতো কাজ হয়, তাহলে নদীকে ওখানে ঠেকানো যায়। কিন্তু উজানে ও ভাটিতে আবার ভাঙে। গত তিন বছর যাবত ধরে প্রকল্পটা ঘুরছে, কেউই অনুমোদন নিতে পারেননি এবং কোন টাকাও হাতে পাননি। তাই তেমন কোন কাজও করা যায়নি। এর ফলে বহু সম্পদ সম্পত্তি ভেঙে গেছে। এখনতো অনেক দূর পর্যন্ত ভেঙে গেছে’।
এছাড়াও তিনি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে অতিসত্ত্বর কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, পদ্মার ভাঙনে গত দুই মাসে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ৫ হাজারেরও বেশি পরিবার তাদের সর্বস্ব হারালেও ভাঙন প্রতিরোধ কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশা লাঘবে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মতামত দিন