এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।'
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের একটি অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হওয়ায় সেখানে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম ইমামুল হক বলেছেন, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদস্ত কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি উপাচার্য।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি সিডিসহ বেনামি চিঠি শিক্ষকদের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়। ওই চিঠি ও সিডি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড় শুরু হয়। চিঠিতে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অশ্লীল ভিডিও ফুটেজসহ নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষক সমিতির দাবি, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জরুরি সভা করে উপাচার্যের কাছে তদন্ত ও বিচার দাবি করে। এরপর ৭-৮ দিনে পেরিয়ে গেলেও উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এর ৪৪ (৬) নং ধারা অনুযায়ী নৈতিক স্খলন একটি অমার্জনীয় অপরাধ। এমন চরিত্রের রেজিস্ট্রারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি ছাত্রীরাও নিরাপদ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে যে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে আমি তাকে স্বাগত জানাই।’
কপিরাইট Ⓒ ২০১২-২০১৮ ২এ মিডিয়া লিমিটেড। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
৮/সি, এফআর টাওয়ার, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৭, বাংলাদেশ।
কাজী আনিস আহমেদ, প্রকাশক
মতামত দিন