প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বরযাত্রী আসার আগেই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়ে যায়।
নীলফামারীর ডোমারে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো গোমনাতী ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের্র ডাক্তার পাড়া গ্রামের মনি আক্তার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রবিউল ইসলামের মেয়ে ও গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী মনি আক্তারের (১৫) সাথে উপজেলার দক্ষিণ গোমনাতী এলাকার মফিজার রহমানের ছেলে আব্দুল মজিদের (১৯) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বরযাত্রী আসার আগেই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে চার বিয়ে করিয়ে গ্রেফতার বাবা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমাকে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষনিক গোমনাতী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও গ্রাম পুলিশকে কনের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে কনের বাবার সাথে ফোনে কথা বলে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেয়।
শেষে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিবে না মর্মে বাবা রবিউল ইসলাম ও পরিবারের লোকজন লিখিত ভাবে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে, নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ ধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এজাবুল হক সহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।
মতামত দিন