মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের বাইরে থেকে হেদায়েৎকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়
ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের একজন নাগরিককে এমনভাবে হাতকড়া পরানোর নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
মানবাধিকারকর্মীরা বলেছেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে এমন আচরণ অমানবিক, নিষ্ঠুর ও অসম্মানজনক, যা আইন সমর্থন করে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরেখুলনা প্রেসক্লাবের বাইরে থেকে হেদায়েৎকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে 'অসত্য' প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগ আনা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক এ বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি যদি পালানোর চেষ্টা না করে তাহলে পুলিশের হাতকড়া ব্যবহার করা উচিত না।
রেজাউল হক আরও বলেন, 'প্রত্যেক নাগরিকের আত্মসম্মান আছে। যদি কোনো সাংবাদিককে বিভ্রান্তকর খবর প্রকাশের জন্যেও গ্রেপ্তার করা হয়, তার সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করতে হবে। এভাবে কাউকে হাতকড়া পরানো অসম্মানজনক।'
কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের ৫০ ধারায় বলা হয়েছে, যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে আটক রাখতে প্রয়োজনের বেশি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. স্বাধীন মালিক বলেন, হেদায়েৎ-এর সঙ্গে পুলিশের আচরণ 'অমানবিক ও নিষ্ঠুর' ছিল। হেদায়েৎ কোনো দাগি বা উশৃঙ্খল আসামি না। তাকে খুলনা প্রেসক্লাব থেকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য না।
মতামত দিন