সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এই দাবি জানানো হয়
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের মুক্তির দাবি জানালেন দলীয় নেতারা।
সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এই দাবি জানানো হয়।
তবে এই ইফতার মাহফিলের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন দলটির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।
উপজেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটুর সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন আরিফ ভূঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক রবিউজ্জামান বাবু, মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর নুরনবী লিটন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন ও সোনাগাজী ইউনিয়নের মেম্বার আবদুস সালাম খোকন প্রমূখ।
ইফতার মাহফিলে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেদাবি করে বক্তারা বলেন, “নুসরাত হত্যায় রুহুল আমিনের কী অপরাধ সোনাগাজীবাসী জানতে চায়? সোনাগাজী মাদ্রাসায় জামায়াত শিবিরের ঘাঁটি উৎখাত করে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় একটি গ্রুপ তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।”
এসময় রুহুল আমিনকে নির্দোষ আখ্যা দিয়ে তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে রুহুল আমিনকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, আয়োজকেরাও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তবে তারা রুহুল আমিনের অনুসারী।
সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর নুরনবী লিটন রফিকুল ইসলাম খোকনের এমন বক্তব্য মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “নুসরাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদৌল্লাহ অপকর্মের অন্যতম দোসর ছিল মেয়র খোকন। দলের নেতাকর্মীদেরকে বিপথে পরিচালিত করে সে এখন সাধু সাজার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, নুসরাত হত্যায় জড়িত শাহাদাত হোসেন শামীমের সাথে মোবাইলে কথোপকথনের সূত্র ধরে এবং শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তারা জানিয়েছিলেন রুহুল আমিনকে ঘটনার দিন সকাল ১০টা ১২ মিনিটে শাহাদাত হোসেন শামীম ফোন দিলে তিনি তাদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
মতামত দিন