এরশাদের মরদেহ নিয়ে ঢাকায় ফিরতে চাইলে স্থানীয় জনতা ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সটি ঘিরে ধরেন এবং রংপুরে তাকে সমাহিত করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এক সময় অ্যাম্বুলেন্সটিকে তারা এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন।
রংপুরবাসীর দাবির মুখে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরের পল্লীনিবাসে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার।
১৫ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
মশিউর রহমান রাঙ্গা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “রংপুরের মানুষের ভালোবাসায় শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে তার (রওশন এরশাদ) জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।”
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এরশাদের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার চতুর্থ জানাজার জন্য রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
পরে এরশাদের মরদেহ নিয়ে ঢাকায় ফিরতে চাইলে স্থানীয় জনতা ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সটি ঘিরে ধরেন এবং রংপুরে তাকে সমাহিত করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এক সময় অ্যাম্বুলেন্সটিকে তারা এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, “দুপুরে রংপুরে জানাজা শেষে রাজধানীর বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।”
তিনি আরো বলেছিলেন, “উনার শেষ ইচ্ছানুযায়ী বনানীতে সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাকে সমাহিত করা হবে। এই কবরস্থান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হলেও যেকোনো সময় যে কেউ সেখানে যেতে পারেন।”
কিন্তু প্রথম থেকেই রংপুরের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা তাকে সেখানেই দাফন করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ জন্য এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসের লিচুবাগানে তার কবরও খুঁড়ে রাখা হয়েছিল।
মতামত দিন