মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে নুরের হাতাহাতি করতে দেখা যায়
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবাদের সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিকদের তোলা ছবিতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে নুরের হাতাহাতি করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, বিকেলে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রতিবাদে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নুর ও তার সমর্থকরা। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কয়েক কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিএএ নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যে স্থানে প্রতিবাদ করার কথা ছিল সেখানে আগে থেকেই মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ১৫-২০ জন সমর্থক নিয়ে অবস্থান নেন। নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে তারা নুর ও তার সমর্থকদের মিছিল বের করতে নিষেধ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সমর্থকদের বাধার পরও ভিপি নুর মিছিল বের করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে নুর ও তার সমর্থকদের মারধর করেন বুলবুল। এর কিছুক্ষণ পরেই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান।
এ ঘটনায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে একটি দল আহতদের ঢামেকে দেখতে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "নুরের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হলে আমরা শুধু তা প্রতিহত করি। সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ডাকসু ভিপির এ নিয়ে প্রতিবাদ করার কোনো অধিকার নেই। এছাড়া তিনি তার অবৈধ অর্থ লেনদেন সম্পর্কে কিছুই পরিষ্কার করেননি। এ কারণেই আমরা তাকে প্রতিহত করি।"
এদিকে ভিপি নুর অভিযোগ করেন, "ভারতের আগ্রাসনের" বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ। এতে তার বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙে যায়।
মতামত দিন