‘সংখ্যালঘু হওয়ায় মফিজুলের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি, শেষ পর্যন্ত নির্যাতন সইতে না পেরে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই’
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ৫ বছর যাবৎ যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইটভাটা মালিক ও ঠিকাদার মফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে যৌন নির্যাতনের শিকার ঐ নারী বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মফিজুল ইসলাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে ওই তরুণী বলেন, মফিজুল ইসলামের ইট ভাটায় তার পিতা শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে। মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কের কারণে মফিজুল ইসলাম প্রায় প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো।
২০১৪ সাল থেকে মফিজুল ইসলাম দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে থেকে যৌন নির্যাতন শুরু করে।
মামলায় আরও উল্লেখ করেন যে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মফিজুল বাড়িতে এসে তার ওপর জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন চালায়। একথা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ওই তরুণী বলেন, “সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে মফিজুলের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। শেষ পর্যন্ত নির্যাতন সইতে না পারার কারণে অবশেষে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই।”
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান জানান, নির্যাতিতা ওই তরুণী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার আসামিকে আদালতে প্রেরণ ও নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মতামত দিন