ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তারা
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে (রোগ সংক্রমণ রোধে পৃথক রাখার ব্যবস্থা) থাকার পর স্বাস্থ্য ছাড়পত্র নিয়ে ফিরেছেন ২৩ বাংলাদেশি নাগরিক।
শনিবার (১৪ মার্চ) বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় নয়াদিল্লি থেকে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএনবি। এর আগে বেলা ১১ টা ৫৮ মিনিটে (নয়াদিল্লির স্থানীয় সময়) ফ্লাইটটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এয়ারলাইন্সের অনলাইন ফ্লাইট ইনফরমেশন আপডেট এ তথ্য নিশ্চিত করে। ওই বাংলাদেশিদের পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রবাসীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সমন্বিতভাবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
ইউএনবি’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও এক শিশুসহ একটি পরিবারের ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে, কেউ করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট “কোভিড-১৯” রোগে আক্রান্ত নন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সাথে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, “ভারতীয় বিমান বাহিনী ও ভারত সরকার যে অভূতপূর্ব কাজ করেছে সেজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী চীনের প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের সুরক্ষিত রাখতে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা উল্লেখ করার মতো ছিলো।”
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও স্থানীয় আরও ৩টি বিমান সংস্থা নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভারতে তাদের সকল ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন জানায়, ১৩ মার্চ থেকে নতুন কোনো ভিসা দেওয়া হবে না। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ভারতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার।
মতামত দিন